Thursday 3 June 2021

আপনি কি মাসে ১০০ ডলার আর্ন করতে চান নাকি ৫০০০ ডলার?

 


লেখাটা একদম নিউবিদের জন্য। যারা এখনও কোনো নিস সাইট থেকে আর্ন করতে পারেননি।
----
আমি আজকে দুইটা মেথডে আর্নিংয়ের কথা জানাবো- দু’টোই সম্পূর্ণ আমার নিজের অভিজ্ঞতা। প্রথমটা খুব কঠিন এবং সময় লাগবে বেশি। এই মেথডে কাজ করলে আপনি মাসে একশ’ ডলার আর্ন করতে পারবেন। আরেকটা মেথড মোটামুটি ইজি আর সময়ও তুলনামূলক কম লাগবে। এই মেথডে কাজ করলে মাসে মিনিমাম পাঁচ হাজার ডলার আর্ন হবে। বেশির কথা নাইবা বললাম।
.
এখন আমার কোশ্চেন হচ্ছে- আপনি কোন মেথডে কাজ করতে চান?
.
সিদ্ধান্তটা এখুনি নিয়ে নিন। উত্তরটা মনে রাখেন। কাউকে জানানোর দরকার নেই। লেখাটা পড়া শেষ হলে নিজেই মিলিয়ে নেবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
.
মেথড # ০২: টার্গেট মাসে ৫০০০ ডলার আয়
২০১৬ সাল। আমাজন অ্যাফিলিয়েট নিস সাইট নিয়ে কাজ করে ইতোমধ্যে ফেইল করেছি দু-দুবার। অভিজ্ঞতাও ততোদিনে মোটামুটি অর্জন হয়েছে। পড়াশোনা করেছি বেশকিছু। কয়েকজন সাকসেসফুল মার্কেটারের সাকসেসও দেখেছি কাছ থেকে। তাদের সাইট নিয়েও ঘাটাঘাটি করেছি।
.
ও-হ্যাঁ, অনলাইনে আমি প্রতিদিন ১৫-১৮ ঘণ্টা সময় কাটাই। এর বেশিরভাগ সময়ই কাটে আমার অন্যদের নিস সাইট ঘাটাঘাটি করে। আমি কখনোই কারও মেথড হুবহু কপি করিনি। তবে বুঝতে চেষ্টা করেছি। এমনকি একটা অসফল/ব্যর্থ সাইটও ঘাটাঘাটি করে বুঝতে চেষ্টা করেছি/করি কেন সেটা সফল হলো না। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারটা আমাকে শিখতে অনেক সহায়তা করে।
.
যাইহোক, যা বলছিলাম, মোটামুটি জানাশোনা, পড়ালেখা শেষ করে বেশ আত্মবিশ্বাস আর হাজার পাঁচেক আমেরিকান টাকা নিয়ে ঘাপটি মেরে বসলাম একটা নিস সাইট বানানোর জন্য। টার্গেট হলো- মাসে পাঁচ হাজার ডলার আয় তারপর সিক্স ফিগারে সেল/ফ্লিপ করা। খালি মজাই মজা! 😁
.
লং স্টোরি শর্ট: আমি কি টার্গেট ফুলফিল করতে পেরেছিলাম?
.
উত্তরটা দেয়ার আগে আমার মেথডটা সম্পর্কে একটু বলে নিই- আমার মনে হয় আপনাদের এটা কাজে লাগবে। প্রথমে আমি নিস সিলেকশন করি। নিসের উপর নির্ভর করে প্রোডাক্ট বাছাই করি। হাই প্রাইস প্রোডাক্ট। সাড়ে ছয় হাজার ডলার দামের প্রোডাক্টও ছিলো। গড়ে প্রতি প্রোডাক্টের দাম চার হাজার ডলার। ওই নিসের তখনকার কমিশন রেট ছিলো ৮%। অর্থাৎ একটা প্রোডাক্টের কমিশন ছিলো ৩২০ ডলার প্রায়; গড়পরতায়।
তার মানে বুঝতে পারছেন?
অর্থাৎ কিনা মাসে ১৫-১৬টা প্রোডাক্ট; সর্বসাকুল্যে ২০টা প্রোডাক্ট সেল হলেই গড়পরতায় মাসে ৫কে+ আর্নিং হবে। ইয়াহু!!!!!!
আমার চিন্তা ছিলো, মাসে ২০টা প্রোডাক্ট সেল দিতে পারবো না? এটাতো খুবই নস্যি ব্যাপার।
.
সুতরাং প্রোপার (?) কীওয়ার্ড রিসার্চ করে মাঠে নেমে পড়ি ডোমেইন-হোস্টিং কিনে। পেইড ছিলো থিম ও প্লাগিনও। যেমন ডাব্লিউপি রকেট যেমন ছিলো, তেমনি ইয়োস্ট এসইওর পেইড ভার্সনও ছিলো। থিম কিনেছিলাম জেনেসিস ফ্রেমওয়ার্ক এবং চাইল্ড থিম।
.
মানে একদম আইফোন প্রো ম্যাক্স ভার্সন আর কি! 😉
.
-- প্রোপার কীওয়ার্ড রিসার্চ
-- প্রোপার ওয়েবসাইট ডিজাইন
-- প্রোপার আর্টিক্যাল ডিজাইন
-- প্রোপার অনপেজ এসইও
-- প্রোপার অফপেজ এসইও...
অর্থাৎ সবই ছিলো প্ল্যানমাফিক। কোনোটাই অপ্রোপার ছিলো না। ছিলো কি?
.
তাহলে কি ওই সাইট মান্থলি পাঁচ হাজার ডলার হিট করেছিলো? উত্তর হচ্ছে- না।
.
উত্তরটা এখানেই দিয়ে দিলাম। কারণ এটা নিয়ে আর এগুতে চাচ্ছি না। আর অসফলতার গল্প আসলে পড়তেও আরাম না। কিন্তু গল্পটা বলার পেছনে আমার একটা কারণ নিশ্চয় আছে।। সেই কারণটা কী? বলবো এখুনি।
.
মেথড # ০১: টার্গেট মাসে ১০০ ডলার আয়
জ্বি, উপরের ঘটনার পর আরও বছরখানিক পড়াশোনা শেষ করে, ধরাকে সরা জ্ঞান করা বন্ধ করে, মাথায় শুধু একটাই চিন্তা ভালো করে ভরে নিয়েছিলাম- আমি সিম্পল একটা নিস সাইট বানাবো। সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায়। আর্টিক্যাল, ডোমেইন-হোস্টিং ছাড়া আর কিছুতে ইনভেস্ট করবো না। সবমিলে আমার বাজেট ছিলো সর্বসাকুলে এক হাজার ডলার। আর আমার মান্থলি ইনকাম দরকার একশ’ ডলার। এবং সেটা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। কখনও কমবে না।
.
সিদ্ধান্ত পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি, ঠিক। কিন্তু এই একশ’ ডলার আর্ন টার্গেট করা সাইট-ই আমার ফ্লিপ করা প্রথম সাইট। ওই সাইটে আমাজন অ্যাফিলিয়েট লিংক এড করার প্রথম মাসে আয় করেছিলো মাত্র ৭৬ ডলার। আর তার পরের মাসেই সেটা বেড়ে হয়েছিলো ৪৬০ ডলার। এবং সেটা ক্রমান্বয়ে কমবেশি এই হারেই বেড়েছে ফ্লিপ করার আগ পর্য়ন্ত।
.
লেখাটা কি বড় হয়ে যাচ্ছে?
.
চেষ্টা করছি আরেকটু সংক্ষেপে লিখতে। তো এখন প্রশ্ন হলো- আমার ওই দু্ইটা সাইটের মধ্যে পার্থক্য কী ছিলো? কেন প্রথমটা ব্যর্থ হলো এবং দ্বিতীয়টা জ্যামিতিক হারে ভালো করলো? আমি কি তাহলে বলতে চাচ্ছি- বড় টার্গেট করলে ব্যর্থ হয় আর ছোট টার্গেট করলে সফল হয়?
.
আপনি যদি তা-ই মনে করে থাকেন, তাহলে আমি দুঃখিত, আপনাকে ব্যাপারটা আমি বুঝাতে পারিনি। আমি আসলে এতোক্ষণ গল্প করে করে যা বুঝাতে চেয়েছি, সেটা হচ্ছে- আসলে এই গ্রুপে হিউজ পরিমাণ রিসোর্স আপলোড হচ্ছে। যা কিনা কয়েক হাজার ডলারের কোর্স থেকেও পাওয়া সম্ভব নয় (উল্লেখ্য, আমি নিজে অনেক অনেক কোর্স কিনে দেখেছি, দেখি।)। এতো এতো রিসোর্স পাওয়ার পর অনেকেই মাথা ঘুলিয়ে ফেলেন যে আসলে কোনটা রেখে কোনটা করবেন? একবার ভাবেন অ্যাফিলিয়েট নিস সাইট করবেন। আবার ভাবেন, নাহ, অ্যাডসেন্স নিয়ে কাজ করবেন। একবার গ্রুপে প্রশ্ন করেন তারা যে, অথোরিটি সাইট করবো নাকি নিস সাইট করবো? এরকম প্রশ্ন দেখে, বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই, আমি একদম হ্রস্ব-ই-কার ছাড়া “*দাই” হয়ে যাই। আরে ভাই, আপনি এটাই বুঝতেছেন না যে, হোয়াট ইজ ভালোবাসা আর আর হোয়াট ইজ প্রেম, মানে অথোরিটি সাইট আর নিস সাইট কী? মানে প্রশ্ন দেখে তো তা-ই মনে হয়। আর আপনি কাজ করবেন আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জগতে? ক্যারে ভাই! টাকায় কি আপনারে কামড়ায়? গ্রুপের রিসোর্স দেখে দেখে মাথা কিলাবিলাহিলাঝিলা করে? তাইলে “মাতা টান্ডা করে Abdul বাই কিংভা Taposh দার নামে তানায় কেচ করেন”। তারা এতো রিসোর্স কেন দিচ্ছেন? তাও উল্টাপাল্টা কাজ করে টাকা-পয়সা নষ্ট করবেন না। কেউ কেউ তো আরও এক কাঠি সরেস। বাপের জমি বিক্রি করে গুরুদের নামে অর্থ লগ্নি করেন নিস সাইটে। বাপ্রে! সাহস কত!!! আরেকদল আছে যারা স্ক্রিনশট দেখে হামলে পড়েন। আরে ভাই, যিনি স্ক্রিনশট দিয়েছেন, আপনি কিন্তু তার সফলতাটুকুই দেখছেন। ভাবছেন, খুব সহজ ছিলো ব্যাপারটা। আর হামলে পড়ে তাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করে ফেলেন। কতগুলো আর্টিক্যাল, কত ওয়ার্ডের আর্টিক্যাল, ইনফো-মানি আর্টিক্যালের রেশিও, কীওয়ার্ড প্যাটার্ন কী, নিস কী?... ব্লা... ব্লা...ব্লা প্রশ্ন করে করে একদম উল্টে ফেলেন। যেন আজকে রাতেই স্ক্রিনশট দেয়া ভাইয়ের মেথড ফলো করে সাইট বানিয়ে রেংক করে ফেলবেন উইদিন চব্বিশ ঘণ্টার ভেতর (এই পর্য়ায়ে লালন শাহের একটা গানের কথা মনে পড়লো, আমার খুব ফেভরিট: ছয় মাসের এক কণ্যা ছিলো, নয় মাসে তার গর্ভ হলো, আঠারো মাসে তিনটি সন্তান... তোমরা তারে বলবে কী?)। আরে ভাই, কেমনে সম্ভব এতো অল্প সময়ে? আর যদি একজনের মেথড ফলো করে অন্যজন সাকসেস পেতেন-ই, তাহলে পৃথিবীতে হাজার-হাজার মেথড থাকতো না। একটা মেথড ফলো করেই দুনিয়ার যাবতীয় সফলতার ইতিহাস রচনা হতো। নাকি?
[উপরের অংশটুকু ইচ্ছে করেই ঠাসবুনট গদ্যে লিখেছি। যেন না পড়ে সবাই এড়িয়ে যান। বকাবকি করেছিতো! 🤣]
.
নটেগাছটি মুড়োলো আমার গল্প ফুরোলো!
বকাবকি যা করা করে ফেলেছি। এবার একটু শান্তি লাগছে। উপরের কথাটা আবার রিপিট করছি: বড় টার্গেট করা ভুল নয়। বড় টার্গেট করলে ব্যর্থ হয়, তাও নয়। কিন্তু যেহেতু আপনি একদম নতুন, কিংবা অনেকদিন কাজ করেও সফলতা পাচ্ছেন না। তাহলে আপনি একদম পিনপয়েন্ট করে একটা সুনির্দিষ্ট নিস নিয়ে কাজ করবেন। তাপসদা, যেমনটা বলেছেন, একটা নিসের সবকিছু কভার করে ফেলতে হবে। কোনো কিছু বাদ রাখা যাবে না। কাজ করবেন সম্পূর্ণ নতুন ফ্রেশ ডোমেইন নিয়ে (Hasibul ভাইয়ের ডোমেইন সিলেকশন আর্টিক্যালটা পড়ে নিতে পারেন। আমার নিজেরও একটা ভিডিও আছে ফ্রেশ ডোমেইন সিলেকশনের ব্যাপারে)। মান্থলি একশ’ ডলার টার্গেট করে নিস সাইট বানান। দাদার কীওয়ার্ড রিসার্চ প্যাটার্নটা বুঝতে চেষ্টা করেন।
.
একটা কথা সত্যি করে বলেন তো! তাপস দা কীওয়ার্ড নিয়ে যে তিনটা এপিসোড লিখেছেন, সেগুলো কয়বার পড়েছেন? আমি সপ্তাহে অন্তত একবার পড়ি। শুধু তাপসদার নয়, আমার মনে হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিস সাইট রিসোর্সে আমার সবচেয়ে বেশি পড়া হয় এবং পড়ি কীওয়ার্ড নিয়ে লেখা। দ্বিতীয় অবস্থানে বোধহয় আছে আর্টিক্যাল স্ট্রাকচার।
.
যাইহোক, যা বলছিলাম, আপনি যদি শুধুমাত্র তাপসদা’র কীওয়ার্ড রিসার্চ প্ল্যানটা ধরতে পারেন, তাহলে নিস সাইট জগতে আপনার সাকসেস মোটামুটি ৮০% বৃদ্ধি পাবে। সাকসেসের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বা তিনগুণ হয়ে যাবে। বিশ্বাস করুন, এরকম রিসোর্স আপনি আর কোথাও পাবেন না। দাদা যদি এখন প্রোডাক্ট রিসার্চের উপর একটা গাইডলাইন ক্রিয়েট করেন, তাহলে ষোলকলা পূর্ণ হবে। শুধু এই দুইটা বিষয় দিয়েই নিস সাইটে সাকসেস পাওয়া সম্ভব যদি আপনি সুন্দর একটা প্ল্যান করে প্ল্যানমাফিক কাজ করতে পারেন। অবশ্যই প্ল্যানটা হতে হবে আপনার নিজের। অর্থাৎ আপনি নিজে বুঝেশুনে পরিকল্পনা করতে হবে। বুঝার জন্যতো এইগ্রুপটাই যথেষ্ট। তাহলে ”ভয় কী মিয়া”? (হোসেন মিয়া/পদ্মা নদীর মাঝি)।
.
হুম, একটা নিস সাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে এর প্ল্যান। আসলে শুধু নিস সাইট নয়। যেকোনো কাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সেই কাজের প্ল্যান। আপনার প্ল্যান যতো পিনপয়েন্ট হবে; অর্থা সুচারু হবে, আপনার সফলতার পরিমান বেড়ে যাবে ততোগুণ।
.
আজকে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে, স্ক্রিনশটের পেছনে আর ঘুরবেন না। পড়বেন বেশি বেশি করে। আর প্ল্যান করবেন সম্পূর্ণ নিজের মতো করে। কারও প্ল্যানে বায়াসড হবেন না। যা করবেন নিজের সিদ্ধান্তে।
.
আর হ্যাঁ, আরেকটা ব্যাপার, হয় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে চলে আসুন আমার সাথে, কিংবা উত্তর সিটি কর্পোরেশনেও থাকতে পারেন। কিন্তু যেদিকেই থাকেন, একপাড়ে থাকতে হবে। মানে শুরুটা হবে হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিয়ে কিংবা এডসেন্স দিয়ে। তারপর একটাতে সফলতা পেলে উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম যেখানে ইচ্ছে নিজের বাড়িয়ে বানিয়ে থাকতে পারবেন। ভাড়াও থাকতে হবে না। 🙂
.
১০০ ডলার VS ৫০০০ ডলার
লং স্টোরি শর্ট: মাসে একশ’ ডলার আয় করার জন্য আপনাকে এক বছর, তথা ১২ মাস সময় নিয়ে মাঠে নামতে হবে। এই বারো মাসের প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা ব্যয় করতে হবে এই কাজের জন্য। প্রথম তিন মাস পড়াশোনা করবেন- সার্পকী-ই যথেষ্ট, আমি মনে করি। সপ্তাহে সাতদিনই পড়াশোনা করতে হবে। পরের এক মাস প্ল্যান করবেন। পরের দুই মাস ব্যয় করবেন কীওয়ার্ড রিসার্চ করার কাজে- অবশ্য দাদার মেথডটা ধরতে পারলে অতো সময় লাগবে না। পরের চার মাস নিস সাইট ডিজাইন, আর্টিক্যাল, অনপেজ এসইও, অফপেজ বেসিক এসইও... ইত্যাদির পেছনে ব্যয় করবেন। তাহলে মোট হলো দশ মাস। এগারোতম মাসে অ্যাফিলিয়েট লিংক সাইটে এড করবেন, ইনশাআল্লাহ আর্নিং শুরু হবে। বারোতম মাসে ইনশাআল্লাহ ১০০+ ডলার ক্রস করবে আপনার সাইট। ক্রমান্বয়ে পরের মাসগুলোতে সাইটের অগ্রগতি দেখে আপনি নিজেই অবাক হবেন।
.
তবে আপনি যদি ফুলটাইম এখানে দিতে পারেন, মানে দৈনিক ১০-১২+ ঘণ্টা সময় যদি এই সেক্টরে ব্যয় করতে পারেন, তাহলে বারো মাস সময় কমে ৬ মাসে নেমে আসবে। এবার সিদ্ধান্ত আপনার। একটা কথা মাথায় গেঁথে নিতে পারেন: এই সেক্টরে কোনো শর্টকাট পদ্ধতি নেই। অন্তত আমার জানা নেই। এখানে কাজ করতে হয় প্রচুর পরিশ্রম এবং অনেক সময় ব্যয় করে।
.
আপনি যদি এরকম ১০০ ডলার আয়ের একটা সাইট বানাতে পারেন এবং কন্টিনিউ করতে পারেন, তাহলে পরবর্তী মেথড # ২; অর্থাৎ মাসে পাঁচ হাজার ডলার আয় করার নিস সাইট বানাতে পারবেন পরের ধাপেই। আর মজার ব্যাপার হলো- একশ’ ডলার আয় করার সাইট বানাতে আপনার যে সময় এবং পরিশ্রম লেগেছে, তখন পাঁচ হাজার ডলারের সাইট আপনি বানাতে পারবেন সেটার মাত্র ২৫% পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করে। বলেছিলাম না যে, পাঁচ হাজার ডলার মান্থলি আয়ের সাইট বানাতে কম সময় ও পরিশ্রম লাগে? সেটা দেখলেন তো? তবে যদি শুরুতেই পাঁচ হাজার ডলার আয়ের সাইট বানাতে চান, তাহলে আগামী পাঁচ বছরেও আপনার লেভেল আপ হবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। লিখে রাখতে পারেন।
.
কী বললেন? আপনার কাছে উদাহরণ আছে শুরুতেই পাঁচ হাজার ডলার আয়ের সাইট বানিয়ে ফেলার? ভাইরে, আপনার কাছে কয়টা উদাহরণ আছে? আমার কাছে আরও বেশি আছে! কিন্তু ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না। শুরুতেই মাসে পাঁচ হাজার ডলার আয় করে ফেলাটা অবশ্যই ব্যতিক্রম। ওকে?
.
তাড়াহুড়ো করে সব জায়গায় ভালো কিছু কারা যায় না। সময় নিয়ে কাজে বসলে ধীরে-স্থিরে আগাতে পারবেন ঠাণ্ডা মাথায়। আর এতে করে ইনশাআল্লাহ সফলতা আপনার পেছনে ঘুরবেই। এটাচড ছবিটা আমি নিজেই এডিট করে বানিয়েছি। নইলেতো পরে বলবেন- এইসব এডিট করা যায়! 😃 😛
.
তাহলে আজ এই পর্য়ন্তই।
ভালো থাকুন সবাই।
হ্যাপি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং!
.
[বি:দ্র: কচি করে এবার উত্তর দিতে পারেন: মাসে একশ’ ডলার আয়ের সাইট বানাবেন নাকি পাঁচ হাজার ডলারের সাইট?]

No comments:

Post a Comment